বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৭১ সালে, এবং স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ এর পুর্বে স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র মধ্যবর্তী সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিলো। যা গৃহিত হয়েছিল ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে, এবং একে retrospective effect দেওয়া হয় ২৬ মার্চ ১৯৭১ সাল থেকে।
স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রে রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্ল্যেখ্য ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান এবং উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্ল্যেখ্য ছিলেন সৈয়দ নজরূল ইসলাম। তৎকালীন সময়ে প্রধানমমন্ত্রী ছিলেন তাজ উদ্দিন আহমেদ, এবং তাদের কে নিয়ে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন করা হয়। একইদিনে প্রবাসী সরকারও গঠন করা হয়। অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে ১৭ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের আওতায় "আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ জারি" করেন রাষ্ট্রপতি।
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্ধী ছিলেন। স্বাধীনতার পর ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে মুক্তির ঘোষণা করেন, এবং তিনি ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।তিনি ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি করেন। আর এই আদেশ জারির মাধ্যমেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রদ হয়ে যায়। সংবিধান হলো রাষ্ট্রে মূল ও সর্বোচ্চ আইন; রাষ্ট্রের মৌলিক আইনের দলিল।স্বাধীনতার পর ১১ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান অস্থায়ী সংবিধানের আদেশ জারি করেন। সেই ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরি ২৩ মার্চ ১৯৭২ সালে গণপরিষদ আদেশ জারি করেন। এই আদেশ অনুযায়ী ১৯৭০ সালের নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০৩ জন; এবং সদস্যপদ হারিয়েছিলেন ৬৬ জন।
এই গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে (১১ এপ্রিল ১৯৭২) ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যের একটি কমেটি গঠন করা হয়। একই বছর ১৭ এপ্রিল থেকে ৮মে পর্যন্ত এই কমেটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে এবং জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহব্বান কারা হয়। সংগ্রহীত মতামত থেকে ৯৮ টী সুপারিশ গ্রহন করা হয়। ১০ জুন ১৯৭২ সংবিধান প্রণয়ন কমেটি খসড়া সংবিধান অনুমোদন করে। ১২ অক্টোবর তৎকালীন আইন মন্ত্রী ড. কামার হোহেন সংবিধান বিল গণপরিষদে উথাপন করেন। ৪ নভেম্বর ১৯৭২ খসড়া সংবিধানটি গণপরিষদে গৃহীত হয়। এবং এই দিনটিকেই সংবিধান দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। হস্তলিখিত খসড়া সংবিধান্নে সাক্ষর প্রদান করা হয় ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ থেকে প্রথম সংবিধান কার্যকর হয় এবং গণপরিষদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়াবলীঃ
সংবিধান প্রণয়ন কমেটিতে একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন- রাজিয়া বনু।
হস্ত লিখিত সংবিধানের সাক্ষর করেননি একমাত্র ন্যাপ বা বিরোধীদলীয় সদস্য- সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
খসড়া সনবিধানের হস্ত লিখক- আব্দুর রঊফ।
খসড়া সংবিধানের অলঙ্করণ ও ডিজাইনার- জয়নুল আবেদীন।
বাংলাদেশ সংবিধানের রুপকার বলা হয়- ড. কামাল হোসেন কে।
সংবিধানের ব্যাখ্যাকারক- সুপ্রিম কোর্ট।
সংবিধানের প্রকৃতি- লিখিত ও দুস্পরিবর্তনীয়।
হস্তলিখিত সংবিধানের পৃষ্ঠা ছিল- ৯৩টি, সাক্ষর সহ মোট ১০৮ টি। প্রথম সাক্ষর করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
গণপরিষদ গঠন হয়েছিল- কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগরে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পুর্বে দুইটি অন্তরবর্তীকালীন সংবিধান প্রণীত হয়
ক- স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (১০ এপ্রিল ১৯৭১)
খ- অস্থায়ী সংবিধান আদেশ (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)
হস্তলিখিত সংবিধানের সাক্ষর করেন গণপরিষদের- ৩০৯ জন সদস্য। আর মোট সাক্ষর পরেছিল ৩৮৬ জনের।
স্বাধীনতার ঘোষনার আওতাবলে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল “আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ” ঘোষণা করেন। এই আদেশ টি ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে কার্যকর হয়।
গণপরিষদের কোরাম গঠনের জন্য ১০০ জন সদস্যের উপস্থিতি দরকার হত।
সংবিধান প্রণয়ন কমেটিতে একমাত্র নারী সদস্য ছিলেন- রাজিয়া বনু।
হস্ত লিখিত সংবিধানের সাক্ষর করেননি একমাত্র ন্যাপ বা বিরোধীদলীয় সদস্য- সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।
খসড়া সনবিধানের হস্ত লিখক- আব্দুর রঊফ।
খসড়া সংবিধানের অলঙ্করণ ও ডিজাইনার- জয়নুল আবেদীন।
বাংলাদেশ সংবিধানের রুপকার বলা হয়- ড. কামাল হোসেন কে।
সংবিধানের ব্যাখ্যাকারক- সুপ্রিম কোর্ট।
সংবিধানের প্রকৃতি- লিখিত ও দুস্পরিবর্তনীয়।
হস্তলিখিত সংবিধানের পৃষ্ঠা ছিল- ৯৩টি, সাক্ষর সহ মোট ১০৮ টি। প্রথম সাক্ষর করেন শেখ মুজিবুর রহমান।
গণপরিষদ গঠন হয়েছিল- কুষ্টিয়া জেলার মুজিবনগরে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পুর্বে দুইটি অন্তরবর্তীকালীন সংবিধান প্রণীত হয়
ক- স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (১০ এপ্রিল ১৯৭১)
খ- অস্থায়ী সংবিধান আদেশ (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)
হস্তলিখিত সংবিধানের সাক্ষর করেন গণপরিষদের- ৩০৯ জন সদস্য। আর মোট সাক্ষর পরেছিল ৩৮৬ জনের।
স্বাধীনতার ঘোষনার আওতাবলে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল “আইনের ধারাবাহিকতা বলবৎকরণ আদেশ” ঘোষণা করেন। এই আদেশ টি ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে কার্যকর হয়।
গণপরিষদের কোরাম গঠনের জন্য ১০০ জন সদস্যের উপস্থিতি দরকার হত।
No comments:
Post a Comment